৫০ বছর পরেও আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, নারীরা যখন ঘরের বাহিরে যেতে চান তখন তারা কিন্তু নিরাপদ নন।
তাদের জন্য সড়ক, কাজের ক্ষেত্র এতদিনে সম্পূর্ণ নিরাপদ হয়ে যাবার কথা ছিলো। কিন্তু সেটি আজ পর্যন্ত হইনি।
সেটার পাশাপাশি এখন যেটা জরুরী সেটা হচ্ছে যে আপনার যে ধর্ষণের যে বিচারিক প্রক্রিয়ার প্রতিটি স্টেপকে জবাবদিহিতাপূর্ণ করা এবং সেটা যেনো দ্রæত বিচার হয় এবং বিচারটা যেনো নিশ্চত হয়। মনোজগতের পরিবর্তন আনাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ।
বিভিন্ন অঞ্চলে বা আমাদের প্রান্তিক জায়গাগুলোতে এখনো যে ফ্যাটালিস্ট আচারণ করা হয়, সেটা না করে তাদের মনোজগতে এই পরিবর্তনটা ঘটাতে হবে যে কন্যা ও পুত্র সন্তানের মধ্যে কোনো পার্থক্য নাই।
তারা আসলে সন্তান, তাদের সমস্তকিছু তাদের অধিকার এবং তার উপর যে নির্যাতনগুলো হয় সেই ভয় দেখিয়ে তাদের আটকে রাখা না হয়।
পুত্র সন্তানকেও শিক্ষিত করা সে যেনো অন্য কন্যা সন্তানটির প্রতি বা বাইরের নারীর প্রতি বা সারা পৃথিবীর মানুষের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়। এই ধরনের একটা ক্যাম্পেইন হতে হবে।
এই যে তার ওপরে যে নির্যাতনটি ঘরের লোক করছে তা অনেক বেশি তার কাজের ক্ষেত্রে, রাস্তায় যে যৌন হয়রানির শিকার হচ্ছেন তার চেয়ে বেশি।
কোভিডের কারণে যেসব মেয়েরা স্কুল থেকে ছাড় নিয়ে চলে এসেছে, তাদের অনেকের বাল্যবিয়ে ঘটে গেছে।
এই জায়গায় রাষ্ট্রকে জোর দিতে হবে, যারা ঝড়ে গেছেন তাদের কীভাবে ফিরিয়ে আনা যায় এবং আর যেনো ঝরে না যায়।