গ্রাম পর্যায়ে নারী সচেতন হয়েছে। তার অধিকার সম্পর্কে সচেতন হয়েছে। তার কী করা উচিত, কী করা উচিত না, তার কী পাওনা, এটা সে বুঝতে শিখেছে।
সব জায়গায় লড়াই সংগ্রাম করতে হচ্ছে নারীকে। জাতীয় প্রেসক্লাব প্রতিষ্ঠা হয়েছে ১৯৫৪ সালে।
এতো বছর তো পুরুষরাই সভাপতি-সেক্রেটারি হয়ে এসেছে। আজ ৬৬ বছর পর একজন নারী সভাপতি হয়েছে। তাহলে নারী কত পিছিয়ে আছে!
এজন্য মা-বাবা সবাইকেই একজন মেয়েকে এই সমাজে বাঁচতে হলে, টিকতে হলে তাকে ঐভাবে তৈরী করতে হবে।
একজন মেয়ের পড়াশোনা, শিক্ষা-দীক্ষা এবং পার্সোনালিটি, যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলা করার সাহস, সক্ষমতা এসব পরিবার থেকে তৈরি করতে হবে।
বেশিরভাগ নির্যাতনের শিকার মেয়েরা বলে না বলে, চেপে যায় বলে এই ঘটনাগুলো বেশি ঘটে। কিন্তু কেউ জানছে না। আমি বলবো যে, প্রকাশ করতে হবে, প্রয়োজন হলে কারো সহযোগিতা নিতে হবে।
পুরুষদের বোঝা উচিত, তার দৃষ্টিটা সম্মানসূচক হওয়া উচিত। একটা নারীকে সম্মান করতে শেখা। এটাও পরিবার থেকে শেখানো উচিত।
একটা মেয়েকে বড় করার সময় যেমন সে কিভাবে বেড়ে উঠবে তা শেখানো হয়, তেমনি একটা ছেলেকেও শেখানো উচিত সে কি ধর্ষকামী হবে, নাকি সে মানবতাবাদি হবে নাকি কী হবে সেটাও পরিবার থেকে শেখানো উচিত।