রাজশাহীর বহরমপুর মোড়ে ওষুধের দোকানে ৩ বছর ধরে কাজ করছেনে মো. সুজন। তিনি শারীরিক প্রতিবন্ধী। ওষুধসহ বিভিন্ন পণ্য বিক্রির পাশাপাশি কম্পিউটারের টুকটাক কাজও করেন তিনি। বাবা মারা গেছেন। মা প্যারালাইজড হয়ে কয়েক বছর ধরে বিছানায়। সংসারের দায়িত্ব তাই পরোটা সুজনের উপরে। করোনার প্রকোপ শুরুর পর ৩ মাস কাজ ছিল না তার
অনেক কষ্ট করে চলেছি। কাউন্সিলর কিছু সহযোগিতা করেছিলো। তাছাড়া অনেক সময় না খেয়ে থাকতে হয়েছে। অনেকেই করোনা কালে ৩৫০০/- টাকা পেয়েছে, কিন্তু সেটা আমরা এখন পর্যন্ত পাইনি
গুটিপাড়ায় ছোট্ট এই ঘরটায় থাকেন রেবেকা সুলতানা। বাকী নয় ভাই-বোনের ঘর-সংসার থাকলেও পায়ের সমস্যার কারণে তার বিয়ে হয়নি। বাবার পেনশনের সামান্য ক’টাকায় কোনোমতে চলছে জীবন
করোনা থেকে অনেক কষ্ট। কেউ নাই, আমি একা। ইনকাম করারও কেউ নাই। এই ভাগ্নির বাসায়, বোনের বাসায় এভাবে থেকে বেড়াচ্ছি
প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা বলছেন, তারা দরিদ্রতম ও সমাজের সবচেয়ে অনগ্রসর প্রান্তিক জনগোষ্ঠি। তাদের ওপরও পড়েছে করোনা মহামারির নেতিবাচক প্রভাব। তারা চাকুরি হারানোর ও কর্মহীন থাকার ভয়ে ভীত। তাদের আহŸান, করোনার চিকিৎসা ও ভ্যাকসিন পাওয়ার ক্ষেত্রে তাদের অগ্রাধিকার দেয়ার
কল্পনা প্রতিবন্ধী উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি সোহেল রানা বলেন, আমি সরকারের কাছে আহ্বান জানায়, প্রতিবন্ধী সুরক্ষা বেষ্টনীর বাইরেও তাদের যে ধরণের প্রণোদনা আছে, যে ধরণের সহযোগিতা আছে, সেসব সহযোগিতাগুলো তাদের মাঝে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রদান করা
সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, পর্যাপ্ত বরাদ্দ আছে। প্রতিবন্ধীদের সঙ্গে বৈঠক হয় নিয়মিত। সহায়তা চেয়ে চাহিদাপত্র দিলে নেয়া হবে ব্যবস্থা
রাজশাহী বিভাগীয় সমাজেসবা অফিসের পরিচালক এ কে এম সারোয়ার জাহান বলেন, অসচ্ছল প্রতিবন্ধী ভাতা বিতরণ কমিটির যে সভা, সেটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সেখান থেকে চাহিদার প্রেক্ষিতে আমরা হেড অফিসে এই চাহিদাটা প্রেরণ করছি। আমাদের সমাজে প্রতিবন্ধী যারা আছে, সবাইকেই এই সুবিধার আওয়তার নিয়ে আসার জন্য কাজ করে যাচ্ছি।
বিভিন্ন কার্যক্রমে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সম্পৃক্ত করার চেষ্টা করছে সরকার। এবং আমাদের উচিত করোনার সবচেয়ে সংকটে থাকা এই জনগোষ্ঠিকে সহযোগিতা করা। কেননা সবার মিলিত চেষ্টায় সম্ভব হবে করোনা মহামারি মোকাবিলা